২০ জন যাত্রী নিয়ে গ্ৰীন জোন বাঁকুড়ায় বাস চালানো নিয়ে চিন্তায় বাস মালিকরা

3rd May 2020 বাঁকুড়া
২০ জন যাত্রী নিয়ে গ্ৰীন জোন বাঁকুড়ায় বাস চালানো নিয়ে চিন্তায় বাস মালিকরা


তৌসিফ আহমেদ ( বাঁকুড়া ) : কুড়ি জন যাত্রী নিয়ে কিভাবে চালানো সম্ভব বাস ধন্দে বাঁকুড়া জেলার বাস মালিকরা । 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে বাসের চাকা । অবশেষে রাজ্য সরকারের নির্দেশে রাজ্যের গ্রীন জোন জেলাগুলিতে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে  আগামী সোমবার অর্থাৎ চার তারিখ থেকে চলবে বাস ।  তবে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে বাস চালানোর বিষয়ে । জেলার মধ্যে চালাতে হবে বাস এবং বাসের মধ্যে কুড়ি জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না ।

এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে বাস মালিকরা তারা বলছেন একেতেই দীর্ঘদিন ধরে বাস বন্ধ রয়েছে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের তার ওপর কুড়ি জন যাত্রী নিয়ে কিভাবে বাস চালানো সম্ভব যেখানে লিটার প্রতি তেলের দাম 66 টাকা । বাসের কর্মচারীদের বেতন কুড়ি জন বাসযাত্রী থেকে কখনোই তোলা সম্ভব নয় । ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে । এভাবে আমরা বাস চালাতে পারবো না । 

বাঁকুড়া জেলায় এখনো পর্যন্ত কোন করোনা পজিটিভ ধরা পড়েনি আর সে কারণে বাঁকুড়া জেলাকে গ্রীন জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । 

আবার অনেক সাধারণ মানুষ বলেন দেশে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে এই রকম পরিস্থিতিতে বাসে করে যাতায়াত করা আরো ঝুঁকিপূর্ণ হবে । 

পাত্রসায়ের এক বাস মালিক মদন বিশ্বাস বলেন , কুড়িটা প্যাসেঞ্জার নিয়ে কোনো রকমে বাস চালানো সম্ভব নয় , কারণ এখান থেকে তেল খরচ তো দূরের কথা বাসের কর্মচারীদের বেতন টুকু উঠবে না ।

বাঁকুড়া জেলা বাস ইউনিয়নের সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন ,  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন বাস চলবে কিন্তু আমাদের কাছে বিষয়টা ক্লিয়ার নয় রুট ভিত্তিক বাস চলবে নাকি যেভাবে ডেইলি আমাদের বাস চালানো হয় সেভাবে চলবে । তিনি বলেন কুড়ি জন যাত্রী নিয়ে জেলার মধ্যে বাস যাবে এটা কতটা কার্যকারী হবে এটা বাস মালিকদের বিষয় ।
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।